- আপডেটঃ October, 28, 2023, 10:59 am
- 184 ভিউ
আকবর হোসেন, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন এই বাংলাদেশ একদিন বিশ্বে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদায় আশিন হবে। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একের পর এক সাফল্যের পথে এগুচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রমী এবং বাংলাদেশের মাটি উর্বর হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সংগ্রামে পুরো বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেন।
মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে স্বাধীনতা অর্জন করে যখন তিনি নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন তখনই ঘাতকেরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যা করে। তবে ঘাতকদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি কারণ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের সমালোচনা করে তাদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ইতিহাস সাক্ষী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।
একটা সময় যখন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের দ্বারা এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল সে বঞ্চনার উত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন তখন ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট সেজন্যই নেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপি’র নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সারাক্ষণ মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। অথচ বিএনপি নিজেদের সময় হাওয়া ভবনের মাধ্যমে হাওয়ার উপর দুর্নীতি করত, কোনো প্রকল্পের বাস্তবায়ন না করেই। গতকাল শুক্রবার সকালে লাকসামে বঙ্গবন্ধু পৌর অডিটোরিয়ামে লাকসাম উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, একটা সময় এক বা ২ কোটি টাকার কোন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অপেক্ষা করা লাগতো আর এখন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার উপরে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লাসহ নোয়াখালী অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য কুমিল্লা ওয়াসা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজকে শুধু কুমিল্লায় নয়, সারা বাংলাদেশের গ্রামীণ রাস্তাঘাট অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করা হয়েছে যার সুফল সমগ্র দেশের মানুষ এখন ভোগ করছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় একটি পরাশক্তির মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে বলেন, ফিলিস্তিনে যখন হাজার হাজার নিরীহ শিশু এবং নারী হত্যা করা হয় তখন মানবাধিকারের প্রশ্ন কেন উত্থাপিত হয় না। হাসপাতালে বোমা মেরে যখন অসুস্থ মানুষদেরকে মেরে ফেলা হয় তখন কেন মানবাধিকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের জনগণই বাংলাদেশের রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানান। মন্ত্রী বলেন,পদ্মা ব্রিজ, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, এক্সপ্রেস ওয়ে, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসবই দেশের অর্থনীতির গতিকে সচল করার জন্য নেয়া হয়েছে যার সুফল এরই মধ্যে মানুষ ভোগ করছে এবং আগামীতে এসব প্রকল্পের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ত্বরান্বিত হবে।
এ সময় উন্নয়নের এ ধারা বজায় রাখতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া। লাকসাম পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরার সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মেজর হাবিবুর রহমান, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ওয়াহিদ উল্লাহ মজুমদার, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মজুমদার,
লাকসাম পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়সী সাহা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক চেয়ারম্যান, মোশাররফ হোসেন মজুমদার, মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালা উদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদসহ লাকসাম উপজেলার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, লাকসাম উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আরো পড়ুন....